শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
কাটছেই না রাজশাহী রেলস্টেশনে টিকিট সঙ্কট, ভোগান্তিতে জনসাধরণ

কাটছেই না রাজশাহী রেলস্টেশনে টিকিট সঙ্কট, ভোগান্তিতে জনসাধরণ

কাটছেই না রাজশাহী রেলস্টেশনে টিকিট সঙ্কট, ভোগান্তিতে জনসাধরণ
কাটছেই না রাজশাহী রেলস্টেশনে টিকিট সঙ্কট, ভোগান্তিতে জনসাধরণ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর রেল স্টেশনে কোন ভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারছে না টিকিট সঙ্কটের সমস্যা। স্টেশনের কাউন্টারগুলোতে টিকিট ছাড়ার পর মুর্হূর্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সবগুলো টিকিট। এতে টিকিট ক্রয়ের জন্য দাড়িয়ে থাকার লম্বা সারির পেছনের যাত্রীদের ফিরতে হচ্ছে গন্তব্যের টিকিট না নিয়েই। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অশোন্তষ।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীর রেল স্টেশনের কাউন্টারগুলোতে ছিল টিকিট কেনার দীর্ঘ সারি। স্টেশনে যাত্রীদের ছিল উপচে পড়া ভীড়। দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও অনেকেই পাননি টিকিট। এতে অনেকেই ফিরে গেছেন খালি হাতে।

এদিকে রেল সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখ পর্যন্ত নেই কোন ঢাকার টিকিট। ছাড়ার দিনগুলোতেই বিক্রি হয়ে গেছে সব টিকিট। টিকিটের তীব্র সমস্যার পরও রাজশাহী থেকে ঢাকার ৪টি ট্রেনে থেকে ৪টি কোচ অপসারণ করার কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে ৪২০টি আসনের ঘাটতি দেখা দিত। আরও ভোগান্তিতে পড়তে হতো যাত্রীদের। তবে টিকিটের তীব্র সঙ্কটের কারণে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল দপ্তর। জানা গেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ৪টি ট্রেন থেকে ৪টি কোচ অপসারণ করা হবে।

রাজশাহী থেকে ঢাকায় চলাচল করে মোট বনলতা, সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস এই ৪টি ট্রেন। এই ৪টি ট্রেনে রয়েছে ১৩টি কোচ। যার মধ্যে ২টি পাওয়ারকারে কোন আসন নেই। সবমিলিয়ে ১৩টি কোচে রয়েছে ৪ হাজার ৬২০টি আসন। আবার এরমধ্যে প্রায় ১২০০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে রাজশাহী স্টেশনের জন্য। যার মধ্যে অনলাইনে রয়েছে ৫০ শতাংশ টিকিট এবং অফলাইন অর্থাৎ স্টেশন কাউন্টারগুলোতে রয়েছে ৫০ শতাংশ টিকিট। যা মূলত যাত্রার ৫ দিন পূর্বে ছাড়া হয়।

অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, কাউন্টারে টিকিট না মিললেও কাউন্টারের বাইরে কালোবাজারিদের কাছে দ্বিগুণ দামে মিলছে টিকিট।

টিকিট ক্রয় করতে গিয়ে ভোগান্তি ও কালোবাজারে টিকিট বেশি দামে কেনার ব্যাপারে নগরীর অক্ট্রয় মোড় এলাকার আবু হেনা মোস্তফা জামান। তিনি বলেন, ‘পরপর তিনদিন স্টেশন গিয়েছি। কিন্তু টিকিট পায়নি। পরে বাধ্য হয়ে স্টেশনে ঘোরাফেরা করা কালোবাজারির কাছে থেকে ঢাকা যাওয়ার দুটি টিকিট ৪০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনেছি।’

দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও টিকিট না পেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মোহন শাহরিয়ার নামের এক যুবক। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন ঘন্টা ধরে লাইনে দাড়িয়ে ছিলাম টিকিটের জন্য। পরে গিয়ে শুনি সিট নাই। বৃদ্ধ মা, বোন ও ছোটভাই ঢাকায় যাবে বড়বোনের বাড়ি বেড়াতে। কিন্তু সিট বা টিকিট না পেলে কিভাবে তাদের পাঠাবো?

বিকল্প ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, শীতকালে বাসে যাওয়া অত্যন্ত ঝুকি। তাছাড়া বাসের ভাড়ার চাইতে ট্রেনের ভাড়া প্রায় অর্ধেক। সবচেয়ে বড় কথা নিরাপত্তা ও সাচ্ছন্দ্যের জন্য রেলভ্রমণ। এসব কারণেই টিকিট নিতে আসা। তিনি জানান, আমার মতো অনেক মানুষই টিকিট ছাড়াই ফিরে যাচ্ছেন গালমন্দ করতে করতে।

এবিষয়ে রাজশাহী রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল কাদেরকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে এ প্রসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কমারসিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) মো. আহসান উল্লাহ ভূইঞা বলছেন, ডিসেম্বর মাস ছুটির মাস। চলতি মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শীতকালীন ছুটি, ট্রেন টিকিটের তুলনায় বাসের বাড়তি ভাড়া, শীতকালীন সড়কের ঘনকুয়াশা ও ভাঙ্গা রাস্তাসহ দুর্ঘটনা এড়িয়ে ট্রেনের নিরাপদ যাত্রা টিকিট সঙ্কটের মূল কারণ।

এছাড়াও শীতকালে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে বাইরে ট্যুরে যায়। আবার এই মাসের ছুটিগুলোতে শুক্রবার ও শনিবার মিলে যাওয়ায় অনেকেই রাজশাহীর বাইরে ঘুরতে যাচ্ছেন। এসব কারণেও টিকিটের ক্রাইসিস দেখা দিচ্ছে। তবে শীত পার হলে এ সঙ্কট থাকবে না। তাছাড়া আগামী বছরে আরও নতুন নতুন কোচ যুক্ত হবে। সেক্ষেত্রেও আসন সংখ্যা বাড়বে, সাথে যাত্রী ভোগান্তিও কমবে বলে জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply